Sunday, January 14, 2018

পোশাকশ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড

পোশাকশিল্পের-শ্রমিকতৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানোর জন্য সরকার ন্যূনতম মজুরি বোর্ড করেছে। বোর্ডকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর সচিবালয়ে আজ রোববার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক পোশাকশিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী পোশাক খাতের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়ার নাম ঘোষণা করেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, চার সদস্যবিশিষ্ট স্থায়ী নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। অন্য সদস্যরা হলেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু। নিরপেক্ষ প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ন্যূনতম মজুরি বোর্ডকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশের আলোকে সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত শ্রমসচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বরে তৈরি পোশাকশিল্পে নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ কার্যকর হয়। এর মধ্যে মূল মজুরি ৩ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা এবং চিকিৎসা, যাতায়াত ও খাদ্য ভাতা ১ হাজার ১০০ টাকা। ওই বছরের ডিসেম্বরের আগে পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ছিল ৩ হাজার টাকা। একেকটি মজুরিকাঠামো পাঁচ বছরের জন্য গঠন করা হয়।

হঠাৎ কেন চড়া?

বাজারে-সবজি
    গত সপ্তাহে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন শামসুদ্দিন আহমেদ। শীতের সবজির আকর্ষণ মটরশুঁটি আর শিমের বিচি কেনাই ছিল উদ্দেশ্য। বিক্রেতা ১২০ টাকা কেজি চাওয়ায় ভেবেছিলেন পরের সপ্তাহে দাম কমে আসবে। তখনই পাল্লা ধরে কিনে ফেলবেন। তবে আজ রোববার সকালে বাজারে এসে দেখেন, সেই দাম তো কমেইনি, বরং গত সপ্তাহে কম দামে কেনা অন্যান্য সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আজ স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, হঠাৎ সবজির দাম চড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, ঘন কুয়াশার কারণে সবজি পরিবহন কম হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় তাঁদের বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার বিভিন্ন বাজারে সবজির দামে হেরফের হচ্ছে অনেক বেশি।
এদিকে শীতের সবজির দাম আরও কিছুদিন চড়া থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজারে-সবজি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহী থেকে সবচেয়ে বেশি সবজি রাজধানীসহ সারা দেশে সরবরাহ হয়। এর বাইরে প্রতিটি অঞ্চলের আশপাশেও সবজির উৎপাদন হয়। শীত সামনে রেখে সাধারণত শীতের সবজিগুলোর উৎপাদন আগে থেকে শুরু হয়। শুরুতে দাম বেশি থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। দেখা যায়, এই সময়টার দিকে দাম কমে যায়। তবে এবার বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন শুরু করতেই দেরি হয়েছে। তাই কম দামে সবজি কিনতে ক্রেতাদের অন্তত আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে দাম কমে আসতে পারে।
আজ সকালে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব সবজির দাম গত কয়েক দিনের তুলনায় বেড়েছে। সবজি বিক্রেতা আমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আকৃতি অনুসারে ফুলকপি প্রতিটি ২০ থেকে ৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ফুলকপি ১৫ টাকা করেও বিক্রি করেছেন। আজ বাঁধাকপি প্রতিটি ২৫ টাকা, পেঁয়াজপাতা কেজিপ্রতি ২০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা কেজি, শসা ৩০, ৩৫ ও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামের হেরফের হয়েছে শাকের ক্ষেত্রে। গত সপ্তাহের তুলনায় আজ প্রায় দ্বিগুণ দামে লালশাক ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।
কারওয়ান বাজারে আবদুস সাত্তারের দোকান থেকে সবজি কিনছিলেন তিতুমীর কলেজের ছাত্র আহনাফ আফজাল ও মো. সুলতান। আহনাফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনে বাজারে সবজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে এখান থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে শিম কিনেছিলাম। আজ সেটাই কিনলাম ৬০ টাকা দরে।’

‘বিড়ম্বনার শিকার’ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের ডাক


‘বিড়ম্বনার-শিকার’-শিক্ষার্থীদের-ক্লাস-বর্জনের-ডাক
   সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্ত বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কারণে তাঁদের পরিচয়সহ নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও ও দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের চারপাশের রাস্তা অবরোধ করে এই দাবি জানান। ঘণ্টাখানেক অবরোধ শেষে তাঁরা কাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়ে অবরোধ তুলে নেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে ঢাকা মেডিকেলগামী একাধিক অ্যাম্বুলেন্স যানজটে আটকে থাকতে দেখা গেছে।
একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবারও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছিলেন। বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ গ্রুপে একটি ইভেন্ট খোলা হয়। এতে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের অধিভুক্ত বাতিলের দাবি জানাতে জড়ো হন। ওই ইভেন্টের ক্রিয়েটর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘সাত কলেজের অধিভুক্তের পর থেকে শিক্ষার্থীদের পরিচয় নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শাখায় পড়ি। তাঁরা ধরেই নিচ্ছেন, একেকটা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেকটা শাখা।’
মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সাত কলেজের অধিভুক্তের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার চরম অবনতি ঘটছে। সাত কলেজের দেড় লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা, উত্তরপত্র দেখা, সাক্ষাৎকার নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমস্যাগুলো নিয়ে ফেসবুকে কথা বলছেন। টিউশন পাওয়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সবকিছুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অবমাননাকর।
সাত কলেজের বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির রহমান বলেন, ‘ওগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কলেজগুলো নিজেদের নামেই চলছে। নিজেরাই প্রশ্ন প্রণয়ন বা ভাইভা নিচ্ছে। কিন্তু সাত কলেজের সব কাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের করতে হয়। ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাজ করতে গিয়ে তাঁরা অনীহা দেখাচ্ছেন। সিলেবাস শেষ হচ্ছে না। ক্লাসের শিডিউল মিস হচ্ছে।’
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ হয়। শিক্ষার্থীরা ‘বাতিল হোক অধিভুক্ত, ঢাকা হোক বহিরাগতমুক্ত’, ‘সাত কলেজ মুক্ত ঢাকা, হাজারো শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি’, ‘এক দফা এক দাবি, অধিভুক্ত মুক্ত ঢাকা’, ‘সাত কলেজ বেমানান, রাখতে দাবির সম্মান’, ‘অধিভুক্ত মুক্ত কর, দাবির মান রক্ষা কর’, ‘আমরা শুধু আমরাই, অন্য কারও ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় কার্যালয়ের ফটক বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরা বাইরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে উপাচার্য এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, সাত কলেজের যেসব কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে সেগুলো চলবে না।
কিন্তু উপাচার্যের বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত না হয়ে বেলা দেড়টার দিকে টিএসসির কাজু ভাস্কর্যের দিকে যান। সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পরে রাস্তায় বাঁশ ফেলে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন। কয়েকজন কাজু ভাস্কর্যের সামনে সাত কলেজের অধিভুক্ত বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমানোর অংশ হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ ফেসবুকে এর বিরোধিতা শুরু করে।

তামিম-সাকিবের ধরাছোঁয়ায় জয়াসুরিয়া!


দুটি-দারুণ-মাইলফলক-অপেক্ষা-করছে-সাকিব-তামিমের-জন্যদুটি দারুণ মাইলফলক অপেক্ষা করছে সাকিব-তামিমের জন্য। ফাইল ছবিইংল্যান্ডের যেমন লর্ডস, অস্ট্রেলিয়ার এমসিজি, শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা, বাংলাদেশের তেমনি শেরেবাংলা! মানে, শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’—ওয়ানডেতে এই মাঠ এখন ৯৮ নট আউট!
ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচটি হবে এই মাঠে ৯৯তম ওয়ানডে। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে পূর্ণ হবে ‘সেঞ্চুরি’—ওয়ানডেতে ষষ্ঠ ভেন্যু হিসেবে। এর আগে যে পাঁচটি স্টেডিয়াম ন্যূনতম ১০০ ওয়ানডে আয়োজন করেছে, শেরেবাংলা স্টেডিয়াম কিন্তু একটি জায়গায় তাদের সবাইকে ছাপিয়ে যাবে—সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ১০০ ওয়ানডে।
২০০৬, ৮ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু। অর্থাৎ শততম ওয়ানডে আয়োজিত হতে ১১ বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু এই শততম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলকে মাঠে না দেখার আক্ষেপ পুড়তে পারেন অনেকে। সেটা কি দোষের হবে? ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি তৈরির সময় তো ব্যাপারটা বিবেচনা করা যেত!
এই আক্ষেপ অন্তত কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারেন তামিম ইকবাল। ওয়ানডেতে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড গড়া থেকে বাংলাদেশের এ ওপেনার মাত্র ২১০ রানের দূরত্বে পিছিয়ে। ত্রিদেশীয় সিরিজেই কিন্তু তামিম টপকে যেতে পারেন সনাৎ জয়াসুরিয়াকে!
ওয়ানডেতে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড ‘মাতারা হারিকেন’ খ্যাত জয়াসুরিয়ার। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭১ ম্যাচে ৭০ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫১৪ রান করেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এ অধিনায়ক। গড় ৩৮.৬৭, স্ট্রাইক রেট ৮৯.৩৭, সেঞ্চুরি ৪টি এবং ১৯টি ফিফটি।
জয়াসুরিয়ার যেমন প্রেমাদাসা, ইনজামাম-উল-হকের তেমনি শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আরব-আমিরাতের এ মাঠে ৫৯ ম্যাচে ৫৯ ইনিংসে ৫০.২৮ গড় এবং ৭৭.১২ স্ট্রাইক রেটে ২৪৬৪ রান করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক। সেঞ্চুরি ৪টি, ১৭ ফিফটি। ওয়ানডেতে এক মাঠে সর্বোচ্চ রান করার তালিকায় ইনজামাম দ্বিতীয়।
ইনজামামকে টপকে যেতে আর মাত্র ১৬০ রান চাই তামিম ইকবালের। জয়াসুরিয়ার প্রেমাদাসার মতো শেরেবাংলাতেও তামিম ৭১ ম্যাচে এ পর্যন্ত খেলেছেন ৭০ ইনিংস। ৩৩.৪০ গড়ে তাঁর রানসংখ্যা ২৩০৫। স্ট্রাইক রেট ৭৮.৮০। সেঞ্চুরি ৫টি, ১৩ ফিফটি। ওয়ানডেতে এক মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তামিম তৃতীয় হলেও একটি জায়গায় জয়াসুরিয়া ও ইনজামামের চেয়ে এগিয়ে। প্রিয় মাঠে তাঁদের চেয়ে তামিমের চেয়ে সেঞ্চুরিসংখ্যা বেশি!
জয়াসুরিয়া ও ইনজামাম অবসর নেওয়ায় তামিম এই ত্রিদেশীয় সিরিজে না হলেও পরে একসময় হয়তো ঠিকই তাঁদের টপকে যাবেন। তবে তামিমেরও কিন্তু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আছে এবং সেটা তাঁরই সতীর্থ-বন্ধু সাকিব আল হাসান! এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই ৭৩ ম্যাচে ৭০ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২১৪ রান করেছেন সাকিব। ৩৮.৮৪ গড়ে ২টি সেঞ্চুরি, ১৮টি ফিফটি। বন্ধুকে টপকে যেতে সাকিবের চাই আর মাত্র ৯২ রান।
তাহলে জয়াসুরিয়াও কেন নয়? ওয়ানডেতে এক মাঠে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে সাকিবকে করতে হবে আরও ৩০১ রান। অর্থাৎ তামিমের সামনে ২১০ আর সাকিবের সামনে ৩০১—মাইলফলকটা কে আগে গড়েন, সেটাই দেখার বিষয়।

জঙ্গি আস্তানায় নিহত একজনের বাড়ি কুমিল্লায়

জঙ্গি-আস্তানায়-নিহত-একজনের-বাড়ি-কুমিল্লায়
রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় নিহত তিনজনের মধ্য একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে র‍্যাব জানিয়েছে। তাঁর নাম মেজবাহ উদ্দীন। তাঁর বাবা এনামুল হক। মা তাহমিনা আক্তার। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে।
আজ রোববার র‍্যাবের গণমাধ্যম থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এসব কথা জানানো হয়েছে।
র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরানুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মেজবাহ উদ্দীনের স্ত্রী, ভাই, বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে ছয়তলা ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে অভিযান চালায় র‍্যাব। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির তিন সদস্য নিহত হন। পরদিন শুক্রবার সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জঙ্গি আস্তানায় তিনজন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পশ্চিম নাখালপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১০০ গজের মতো দূরে ‘রুবি ভিলার’ অবস্থান। সাংসদদের সরকারি বাসভবন বা ন্যাম ভবনের কাছেই এটি। ছয়তলা বাসার পঞ্চম তলায় মেস বাসা ছিল।
শুক্রবার সকালে জঙ্গি আস্তানাটি পরিদর্শন শেষে র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিহত তিন যুবকের একজনের নাম জাহিদ অথবা সজীব হতে পারে। ওই যুবকের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। একটিতে তাঁর নাম জাহিদ ও আরেকটিতে সজীব বলে উল্লেখ রয়েছে। তিন যুবকেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। চলতি মাসের ৪ তারিখে তাঁরা বাড়িটি ভাড়া নেন। নিহত তিনজনই জঙ্গি। অভিযান চলাকালে তাঁরা গ্যাসের চুলায় গ্রেনেড রেখে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন। ওই জঙ্গি আস্তানার ভেতরে পাওয়ার জেল, সুইসাইডাল ভেস্ট ও বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে।
রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ায় র‍্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় শনিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ এম সেলিম রেজা শনিবার বিকেলে বলেন, পশ্চিম নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় নিহত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। তাঁদের শরীরে বুলেটের একাধিক আঘাতের চিহ্নও ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদনে যে আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা সেই আঘাতগুলো পেয়েছি। একজনের শরীরে একটি বুলেট পাওয়া গেছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের সামনে ও পেছনের দিকে এসব আঘাত রয়েছে।’

পোশাকশ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড

তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানোর জন্য সরকার ন্যূনতম মজুরি বোর্ড করেছে। বোর্ডকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধ...